নাম : কাজী নজরুল ইসলাম।
জন্ম তারিখ : ২৫ মে ১৮৯৯ খ্রি (১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ)
জন্মস্থান : বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার
চুরুলিয়া গ্রাম।
পিতা : কাজী ফকির আহমেদ্
মাতা : জাহেদা খাতুন।
শিক্ষাজীবন
প্রাথমিক শিক্ষা : গ্রামের মক্তব থেকে প্রাথমিক শিক্ষালাভ।
মাধ্যমিক : প্রথমে রাণীগঞ্জের সিয়ারসোল স্কুল,
পরে মারখুন উচ্চ ইংরেজি স্কুল, সর্বশেষ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের দারিরামপুর
স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন।
কর্মজীবন : প্রথম জীবনে জীবিকার তাগিদে
তিনি কবি দলে, রুটির দোকানে এবং সেনাবাহিনিতে যোগদান করেছিলেন। পরবর্তীকালে পত্রিকায়
সম্পাদনা, গ্রামোফোন রেকর্ডের ব্যবসায় গান লেখা ও সুরারোপ ও সাহিত্য সাধনা।
জীবনাবসান : মৃত্যু ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট।
সমাধিস্থান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয়
মসজিদ প্রাঙ্গন।
সাহিত্যকর্ম
কাব্যগ্রন্থ : অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ভাঙার
গান, সাম্যবাদী, সর্বহারা, ফণি-মনসা, জিঞ্জির, সন্ধ্যা, প্রলয়-শিখা, দোলনচাঁপা,
ছায়ানট, সিন্ধু হিল্লোল, চক্রবাক।
উপন্যাস : বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা,
কুহেলিকা।
গল্প : ব্যথার দান, রিক্তের বেদন,
শিউলিমালা, পদ্মগোখরা, জিনের বাদশা।
নাটক : ঝিলমিলি, আলেয়া, পুতুলের
বিয়ে।
প্রবন্ধগ্রন্থ : যুগবাণী, দুর্দিনের যাত্রী,
রাজবন্দীর জবানবন্দী, ধূমকেতু।
অনুবাদ : রুবাইয়াত-ই- হাফিজ, রুবাইয়াত-ই-
ওমর খৈয়াম
জীবনীগ্রন্থ : মরুভাস্কর (হযরত মুহম্মদ
(স.) এর জীবনীগ্রন্থ।
গানের সংকলন : বুলবুল, চোখের চাতক, চন্দ্রবিন্দু,নজুরল
গীতি, সুরলিপি, গানের মালা, চিত্তনামা।
পুরুস্কার ও সম্মাননা
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাগত্তরিণী
স্বর্ণপদক, ভারত সরকার প্রদত্ত ‘পদ্মভূষণ উপাধি লাভ। রবীন্দ্র ভারতী এবং ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করে। তাছাড়া ১৯৭৬ সালে খ্রি. বাংলাদেশে
সরকার ‘একুশে পদক’এবং জাতীয় কবির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেন।
বিষয়বস্তু বর্ণনা- ১
রুদ্র মঙ্গল গ্রন্থে
সংকলিত ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধ ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে নজরুলের ধূমকেতু পত্রিকার
আদর্শ ও উদ্দেশ্য বর্ণিত হয়েছে,
“মাভৈঃ বাণীর ভরসা নিয়ে” “জয় প্রলয়ঙ্কর” বলে “ধূমকেতু”কে
রথ করে আমার আজ নতুন যাত্রা শুরু হলো। আমার কর্ণধার আমি। আমার পথ দেখাবে আমার সত্য।
আমার যাত্রা শুরুর আগে আমি সালাম জানাচ্ছি- নমস্কার করছি আমার সত্যকে। যে পথ আমার সত্যের
বিরোধী, সে পথ ছাড়া অন্য কোনো পথই আমার বিপথ নয়। রাজ ভয় লোকভয় কোনো ভয়ই আমায় বিপথে
নিয়ে যাবে না।
এই প্রবন্ধে তিনি গান্ধীজির
একটি শিক্ষার উল্লেখ করেছেন, নিজেকে চিনলে, নিজের সত্যকেই নিজের কর্ণধার মনে জানলে
নিজের শক্তির উপর অটুট বিশ্বাসকে মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা বলেছেন। কিন্তু তিনি ক্ষোভ
প্রকাশ করেছেন যে দেশবাসী গান্ধীজির কথা বুঝলেন না, তাই তারা ‘আমি আছি’ না বলে বলতে
লাগল ‘গান্ধীজি আছেন। নজরুলের মতে এই পরালম্বন দেশবাসীকে নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া
এবং একে তিনি সবচেয়ে বড় দাসত্ব বলেছেন। নজরুলের মতে, অন্তরে যাদের গোলামী তারা বাইরের
গোলামী থেকে রেহাই পাবে কীভাবে? তার মতে, এদেশ বাসীর মধ্যে যেদিন আত্মনির্ভরতা আসবে
সেদিন তারা স্বাধীন হবে, তার আগে নয়। পাশাপাশি এই প্রবন্ধে তিনি বলেছেন, মানুষ ধর্মই
সবচেয়ে বড় ধর্ম। হিন্দু মুসলমান মিলনের যে অন্তরায় বা ফাঁকি তা দেখিয়ে দিয়ে গলদ দূর
করাই তার অন্যতম উদ্দেশ্য।
বিষয়বস্তু বর্ণনা- ২
‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কবি লোকভয়কে ত্যাগ করে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য
উদগ্র-আকাঙ্ক্ষাকে ব্যক্ত করছেন। তিনি বলেন “ নিজেকে চিনলেই আত্মনির্ভরতা আসে। এই আত্মনির্ভরতা
যেদিন সত্যি সত্যিই আমাদের আসবে, সেইদিন আমরা স্বাধীন হব, তার আগে কিছুতেই নয়।” পাশাপাশি তিনি আমাদের সবচেয়ে বড় রোগের কথা এ প্রবন্ধে তুলে
ধরেছেন সেটা হল দাসত্ব। দাসত্বের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে স্বাবলম্বী হওয়া ও নিজের
ওপর অটুট বিশ্বাস করতে শিখাচ্ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। কিন্তু আমরা তাঁর কথা বুঝলাম না,
‘আমি আছি’ এই কথা না বলে সবাই বলতে লাগলাম,
‘গান্ধীজী আছেন।’ এই পরালম্বন আমাদের নিস্ক্রিয় করে
ফেলল। প্রাবন্ধিক নজরুল বলেন ‘নিজে নিস্ক্রিয় থেকে অন্য একজন মহাপুরুষকে প্রাণপণে ভক্তি
করলেই যদি দেশ উদ্ধার হয়ে যেত, তাহলে এই তেত্রিশ কোটি দেবতার দেশ এতদিন পরাধীন থাকত
না। আত্মাকে চেনা নিজের সত্যকে নিজের ভগবান মনে করার দম্ভ-আর যাই হোক, ভণ্ডামি নয়।
দশের নাড়িতে-নাড়িতে, অস্থিমজ্জায় যে পচন ধরেছে তাকে একেবারে ধ্বংস করে নতুনভাবে দেশ
গঠনের কথা কবি বলেছেন। দেশের যারা শত্রু“, দেশের
যা কিছু মিথ্যা, ভণ্ডামি, মেকি তা সব দুর করতে হবে ‘ধুমকেতু’ হবে আগুনের সম্মার্জনী। ‘ধূমকেতু কোন সাম্প্রদায়িক কাগজ নয়’ বরং ‘মানুষ ধর্মই বড় ধর্ম’ এই দর্শনকে এই পত্রিকা সম্প্রসারিত করবে। হিন্দু ও মুসললমানের
মিলনের যা অন্তরায় সেগুলোকে দূর করে হিন্দু মুসলিম মিলনে এই পত্রিকাটি সহায়ক হবে। যার
নিজের ধর্মে বিশ্বাস আছে-নিজের ধর্মের সত্যকে যে চিনেছে তার পক্ষে অন্যের ধর্মকে ঘৃণা
করা কখনোই সম্ভব নয় বলে কবি মন্তব্য করেছেন। দেশের জন্য যা মঙ্গলকর তা প্রতিষ্ঠা করাই
এই ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার উদ্দেশ্য বলে কবি মত দিয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ লাইন
- আমি কর্ণধার। আমার পথ দেখাবে সত্য
- যার ভিতরে ভয়, সে বাইরে ভয় পায়
- নিজেকে চিনলে, নিজের সত্যকেই নিজের কর্ণধার মনে জানলে নিজের শক্তির উপর অটুট বিশ্বাস আসে।
- এই পরবলম্বনই আমাদের নিষ্ক্রিয় করে ফেললো।
- একেই বলে সবচেয়ে বড় দাসত্ব
- আত্মকে চিনলেই আত্ম নির্ভরতা আসে।
- মানুষ-ধর্মই সবচেয়ে বড় ধর্ম।
- দেশের পক্ষে যা মঙ্গলকর বা সত্য, শুধু তাই লক্ষ্য করে এই আগুনের ঝাণ্ডা দুলিয়ে পথে বাহির হলাম।
- আমি সে দাসত্ব হতে সম্পূর্ণ মুক্ত
- ভুলের মধ্য দিয়ে গিয়েই তবে সত্যকে পাওয়া যায়।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- লেখককে পথ দেখাবে তার – সত্য।
- যাত্রা শুরুর আগে লেখক সালাম ও নমস্কার জানিয়েছেন – সত্যকে।
- লেখক সত্যকে সালাম জানিয়েছেন – যাত্রা শুরু করার আগে।
- ‘সে পথ ছাড়া আর কোন পথই আমার বিপথ নয়’ – এখানে ‘সে পথ’ বলতে প্রাবন্ধিক বুঝিয়েছেন – সত্যের বিরোধী পথ। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অনুসারে প্রাবন্ধিককে বিপথে নিয়ে যাবে না – রাজভয় ও লোকভয়।
- ভুলের মাধ্যমে আমরা পেতে পারি – সত্য।
- যার মনে মিথ্যা সেই মিথ্যাকে – ভয় করে।
- মিথ্যার ভয়কে জয় করতে প্রয়োজন – নিজেকে চেনা।
- সবচেয়ে বড় দাসত্বের পথ – পরাবলম্বন হওয়া।
- ‘গান্ধীজি আছেন’ বলতে বোঝানো হয়েছে – পরাবলম্বন।
- ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে পরিহার করতে বলা হয়েছে – ভণ্ডামি।
- প্রাবন্ধিক আমার পথ বলতে বুঝিয়েছেন – সত্যের পথ।
- প্রাবন্ধিকের মতে ভুল করার চেয়েও নিকৃষ্ট কাজ – ভণ্ডামি করা।
- ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন – মহাত্মা গান্ধী।
- প্রাণ প্রাচুর্যের উৎস বিন্দু – সত্যের উপলদ্ধি।
- অতিরিক্ত বিনয় মানুষকে – ছোট করে।
- লেখক ভুল করতে রাজি হলেও রাজি নন – ভণ্ডামি করতে।
- উৎকৃষ্ট মানব সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব- সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে।
- মানুষের সঙ্গে মানুষের প্রাণের মিলন ঘটে – মানব ধর্ম পালনে।
- ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে যে মহাপুরুষের উলেখ আছে- মহাত্মা গান্ধী।
- ‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি নেওয়া হয়েছে – রুদ্রমঙ্গল প্রবন্ধ থেকে।
- ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে লেখক এক মানুষ, আরেক মানুষের সাথে মিলিয়ে হতে চেয়েছেন – আমরা।
- আমার পথ প্রবন্ধের মূল বিষয় – আত্মসত্য অর্জন।
- মেকি শব্দের অর্থ – মিথ্যা বা কপট।
- সম্মার্জনা শব্দের অর্থ – মেজে ঘষে পরিস্কার করা।
- আগুনের সম্মার্জনা প্রয়োজন – মিথ্যাকে দূর করতে।
- কারও বাণীকে বেদবাক্য বলে মেনে নেয়া যায়, যদি তা – প্রাণের সাড়া দেয়।
- সত্যের অগ্নিশিখাকে নিভিয়ে দেয় – মিথ্যার জল।
- পথ নির্দেশক সত্য অবিনয়কে মানতে পারেন, কিন্তু সহ্য করতে পারেন না – অন্যায়।
- ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে ‘আমি’ ভাবনা বিন্দুতে উচ্ছাস জাগায় – সিন্ধুর।
- নজরুল বার বছর বয়সে কোথায় যোগ দেন? – লেটোর দলে এবং দলে ’ পালা গান’ রচনা করেন।
- নজরুল কোন দৈনিক পত্রিকার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন? – ’সন্ধ্যা, দৈনিক নবযুগ’ (১৯২০) – এর।
- এই পত্রিকার সঙ্গে আর কোন দু’জন রাজনৈতিক নেতা যুক্ত ছিলেন? – কমরেড মুজাফ্ফর আহমদ ও শেরে বাংলা ফজলুল হক।
- তাঁর সম্পাদনায় কোন অর্ধ সাপ্তাহিক পত্রিকা বের হত? – ধূমকেতু (১৯২২)।
- নজরুলকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয় কোথায় এবং কখন? – ১৯২৯ – এর ১৫ই ডিসেম্বর কলকাতার অ্যালবার্ট হলে।
- কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী – সৈয়দা খাতুন (নার্গিস)।
- বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে নজরুলকে কলকাতা থেকে ঢাকায় আনয়ন করা হয় – ১৯৭২ এর ২৪ শে মে এবং এরপর থেকে নজরুল বাংলাদেশেই ছিলেন।
- তিনি বার বছর বয়সে কোথায় যোগ দেন? – লেটোর দলে এবং দলে ’ পালা গান’ রচনা করেন।
- নজরুল কোন দৈনিক পত্রিকার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন? – ’সন্ধ্যা, দৈনিক নবযুগ’ (১৯২০) – এর।
- এই পত্রিকার সঙ্গে আর কোন দু’জন রাজনৈতিক নেতা যুক্ত ছিলেন? – কমরেড মুজাফ্ফর আহমদ ও শেরে বাংলা ফজলুল হক।
- তাঁর সম্পাদনায় কোন অর্ধ সাপ্তাহিক পত্রিকা বের হত? – ধূমকেতু (১৯২২)।
- নজরুলকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয় কোথায় এবং কখন? – ১৯২৯ – এর ১৫ই ডিসেম্বর কলকাতার অ্যালবার্ট হলে।
- কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রী
- ‘অগ্নি-বীণা’ উৎসর্গ করা হয় – বিপ্লবী বারিন্দ্রকুমার ঘোষকে।
- অগ্নি-বীণার প্রথম কবিতা – ’প্রলয়োল্লাস’।
- নজরুলের কোনটি পত্রোপন্যাসের পর্যায়ভুক্ত – বাঁধন-হারা।
- নজরুল মস্তিষ্কের ব্যাধিতে আক্রান্ত হন – ১৯৪২ এর ১০ই অক্টোবর।
- কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী – সৈয়দা খাতুন (নার্গিস)।
- কাজী নজরুল ইসলামের স্ত্রীর নাম – আশালতা সেনগুপ্ত (প্রমিলা)। উলেখ্য যে, নজরুল আশালতা সেনগুপ্তকে ’প্রমিলা’
১. বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে?
(ক) আল মাহমুদ (খ) শামসুর
রাহমান
(●) কাজী নজরুল ইসলাম (ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২. নিজের কোন জেলায় কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ
করেন?
(●) বর্ধমান (খ) কলকাতা
(গ) ময়মনসিংহ (ঘ) নদিয়া
৩. বাংলা কোন তারিখে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম?
(ক) ১০ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০২ (খ)
১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৪
(গ) ১০ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৫ (●) ১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬
৪. কাজী নজরুল ইসলামের পিতার নাম কী?
(ক) কাজী গফুর আহমেদ
(●) কাজী ফকির আহমেদ
(গ) কাজী কবির আহমেদ
(ঘ) কাজী মজিদ আহমেদ
৫. কাজী নজরুল ইসলামের মায়ের নাম কী?
(●) জাহেদা খাতুন (খ)
জাহিদা খাতুন
(গ) সায়মা খাতুন (ঘ) সাবেরা
খাতুন
৬. বাংলা সাহিত্যে কোন কবিকে ‘বিদ্রোহী কবি’ উপাধিতে
ভূষিত করা হয়?
(ক) জীবনানন্দ দাশ (●) কাজী নজরুল ইসলাম
(গ) শামসুর রাহমান (ঘ)
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৭. কত বছর বয়সে কাজী নজরুল ইসলাম দুরারোগ্য ব্যাধিতে
আক্রান্ত হয়েছিলেন?
(ক) ৪৪ (খ) ৪২
(●) ৪৩
(ঘ) ৪১
৮. নজরুলকে কখন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়?
(●) স্বাধীনতার পরে (খ)
স্বাধীনতার আগে
(গ) দেশ বিভাগের পরে (ঘ)
মুক্তিযুদ্ধকালীন
৯. কাজী নজরুল ইসলামকে কোথায় সমাধিস্থ করা হয়?
(ক) কলকাতায়
(●) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে
(গ) বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে
(ঘ) চুরুলিয়া গ্রামে
১০. কাজী নজরুল ইসলাম নিচের
কোন স্থানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
(ক) ত্রিশাল (●) চুরুলিয়া
(গ) আশুলিয়া (ঘ) কুষ্টিয়া
১১. কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে
বাঙালি পল্টনে যোগদান করেন?
(ক) ১৯১৮ (খ) ১৯১৬
(●) ১৯১৭ (ঘ) ১৯১৫
১২. নিচের কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস নয়?
(ক) কুহেলিকা (খ)
মৃত্যু-ক্ষুধা
(গ) বাঁধনহারা (●) রিক্তের বেদন
১৩. নিচের কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের গল্পগ্রন্থ?
(●) ব্যথার দান (খ)
রুদ্র-মঙ্গল
(গ) বাধনহারা (ঘ) দুর্দিনের যাত্রী
১৪. ‘রাজবন্দির জবানবন্দি’ কাজী নজরুলের কোন জাতীয়
গ্রন্থ?
(ক) উপন্যাস (খ) গল্পগ্রন্থ (●) প্রবন্ধ (ঘ) কাব্য
১৫. কাজী নজরুল ইসলামে উপন্যাস সংখ্যা কয়টি?
(ক) ২টি (●) ৩টি (গ) ৪টি (ঘ) ৫টি
১৬. ‘শিউলিমালা’ কোন জাতীয় গ্রন্থ?
(●) গল্পগ্রন্থ
(খ) প্রবন্ধ (গ) নাটক (ঘ) উপন্যাস
১৭. নজরুলের কোনটি ব্যতিক্রম রচনা?
(●) দুর্দিনের যাত্রী (খ) বাঁধনহারা
(গ) মৃত্যুক্ষুধা (ঘ)
কুহেলিকা
১৮. কাজী নজরুল ইসলাম ইংরেজি
কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
(ক) ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ শে সেপ্টেম্বর
(খ) ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ শে আগষ্ট
(●) ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের
২৯ শে আগষ্ট
(ঘ) ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ শে সেপ্টেম্বর
১৯. কাজী নজরুল ইসলাম কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
(ক) কলকাতা (●) ঢাকা
(গ) ময়মনসিংহ (ঘ) বর্ধমান
২০. কাজী নজরুল ইসলামকে পথ দেখাবে নিচের কোনটি?
(●) সত্য (খ)
শিক্ষা
(গ) জ্ঞান (ঘ) সচেতনতা
২১. কাজী নজরুল ইসলাম সত্যকে
কী জানিয়েছেন?
(●) অভিবাদন (খ)
শুভেচ্ছা
(গ) নমস্কার (ঘ)
সাধুবাদ
২২. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে নিচের
কোনটিকে বিপথ বলা হয়েছে?
(●) সত্যবিরোধী পথকে (খ) ভয়ের পথকে
(গ) নিপীড়নের পথকে
(ঘ) লাঞ্ছনার পথকে
২৩. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অনুসারে কোন ব্যক্তি বাইরে
ভয় পায়?
(●) যার ভেতরে ভয় (খ)
যে পরাধীন
(গ) যে অত্যাচারী (ঘ) যে মূর্খ
২৪. যার মনে মিথ্যা আশ্রয় করে থাকে সে কাকে ভয় পায়?
(ক) ভালোকে (●) মিথ্যাকে
(গ) সত্যকে (ঘ)
মন্দকে
২৫. যে ব্যক্তি নিজেকে চেনে তাকে কেউ কী করতে পারে
না?
(ক) পরাজিত (খ) পদানত
(●) আঘাত (ঘ)
অপমান
২৬. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রবন্ধকার
কাকে গুরু বলে মেনেছেন?
(●) আপন সত্যকে (খ) জাতির সত্যকে
(গ) মহৎ ব্যক্তির সত্যকে (ঘ)
দেশমাতৃকার সত্যকে
২৭. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কোনটাকে প্রবন্ধকার দম্ভ
বলতে রাজি নন?
(ক) আপন অহংকারকে (খ) সত্য স্বীকাররোক্তিকে
(●) নিজেকে চেনাকে (ঘ)
বিনয়কে
২৮. কোনটি মিথ্যা বিনয়ের চেয়ে
অনেক ভালো?
(●) আপন সত্যের দম্ভ (খ) আপন মিথ্যার দম্ভ
(গ) দেশের দম্ভ (ঘ) আপন কপটতা
২৯. কোনটি অহংকার বা স্পর্ধা
বললে ভুল হবে?
(ক) সদালাপ (খ) সম্মান প্রদর্শন
(●) স্পষ্ট কথা (ঘ)
বিনয় প্রকাশ
৩০. স্পষ্ট বাক্যের মাধ্যমে
কষ্ট পাওয়াটাকে প্রবন্ধকার কী বলেছেন?
(ক) ভদ্রতা (খ)
নম্রতা
(●) দুর্বলতা (ঘ)
নিষ্ঠুরতা
৩১. মহাত্মা গান্ধী আমাদের কী শিখিয়েছিলেন?
(●) স্বাবলম্বন (খ)
পরনির্ভরশীলতা
(গ) আত্মপ্রত্যয় (ঘ) জ্ঞান অনুসন্ধান
৩২. পরাবলম্বনকে প্রবন্ধকার কী বলে অভিহিত করেছেন?
(ক) নিষ্ক্রিয়তা (খ) দরিদ্রতা
(●) দাসত্ব (ঘ)
মূর্খতা
৩৩. অন্তরে গোলামিকে লালন
করলে কী থেকে রেহাই পাওয়া যায় না?
(●) বাইরের গোলামি (খ)
পরধীনতার শৃঙ্খল
(গ) আমিত্বের শৃঙ্খল
(ঘ) শাসকের গোলামি
৩৪. কাকে চেনার ফলে আত্মনির্ভরতা আসে?
(ক) জাতিকে (খ)
দেশকে
(●) আত্মকে (ঘ)
গান্ধীজীকে
৩৫. আত্মনির্ভরশীলতা এলে আমরা
কী অর্জন করতে পারব?
(●) স্বাধীনতা (খ)
আত্মপলব্ধি
(গ) খ্যাতি (ঘ)
সচেতনতা
৩৬. সত্যের দম্ভ মানুষকে কী করে তোলে?
(ক) বলীয়ান (●) উঁচু (গ) বিনয়ী (ঘ) অহংকারী
৩৭. কারা অসাধ্যকে সাধ্য করতে
পারে?
(●) আত্মসত্যের দম্ভকারী (খ) নিজেকে আড়ালকারী
(গ) সদালাপী (ঘ) পরনির্ভরশীল ব্যক্তি
৩৮. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রবন্ধকার
নিজেকে কী হতে মুক্ত বলে দাবি করেছেন?
(ক) শৃঙ্খল (●) মিথ্যার-দাসত্ব
(গ) ঔপনিবেশিক-দাসত্ব (ঘ)
পরাধীনতা
৩৯. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রবন্ধকার
ভণ্ডামির মাধ্যমে কী পাবার লোভ করেন না?
(ক) যশ (খ) খ্যাতি (●) শ্রদ্ধা
(ঘ) সুনাম
৪০. সত্য যার প্রাণে সাড়া
দেয় না প্রবন্ধকার কাজী নজরুল
৪১. ভুলের মাধ্যমে আমরা কী পেতে পারি?
(●) সত্য (খ) জ্ঞান (গ) ভয়
(ঘ) মিথ্যা
৪২. সত্যের শিখাকে কে নেভাতে পারে?
(●) মিথ্যার জল (খ)
অন্তরের ভয়
(গ) অহংকার (ঘ) অজ্ঞতা
৪৩. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের সবেচেয়ে
বড় ধর্ম কোনটাকে বলা হয়েছে?
(ক) সনাতন (খ) ইসলাম
(গ) বৌদ্ধ (●) মানব ধর্ম
৪৪. কোন ব্যক্তি অন্য ধর্মকে
ঘৃণা করতে পারে না?
(●) নিজ ধর্ম বিশ্বাসী (খ) জ্ঞানী
(গ) নাস্তিক (ঘ)
সৎ
৪৫. ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কাজী
নজরুল ইসলাম কী লক্ষ্য নিয়ে পথে বের হয়েছেন?
(ক) জ্ঞান (খ)
স্বাধীনতা
(গ) আত্মসন্ধান (●) দেশের মঙ্গল
৪৬. নিজেকে চিনলে মানুষের মনে কী আসে?
(ক) বিশ্বাস (●) জোর (গ) সাহস (ঘ) দম্ভ
৪৭. আত্মকে চেনার সহজ স্বীকারোক্তি
কী?
(●) নিজেকে চেনা (খ)
অপরকে চেনা
(গ) ভয়কে চেনা (ঘ) মিথ্যাকে চেনা
৪৮. খুব বেশি বিনয় দেখাতে
গিয়ে কী হয়?
(●) নিজ সত্যকে অস্বীকার করা হয়
(খ) নিজ সত্যকে জানতে পারে
(গ) বিপথে পা বাড়ায়
(ঘ) আত্ম অহংকার বেড়ে যায়
৪৯. মিথ্যা বিনয়ের চেয়ে কী
অনেক ভালো?
(●) অহংকারের পৌরুষ (খ)
মন্দের ভালো
(গ) অন্যকে কুর্নিশ করা (ঘ)
সত্যের সমাদর
৫০. মানুষের অমর্যাদা হয় কিসে?
(●) মিথ্যা বিনয়ে (খ)
বাইরের ভয়ে
(গ) অহংকারে (ঘ)
অন্তরের ভয়ে
৫১. ইসলাম তার বাণীকে কী বলে মেনে নিতে নারাজ?
(●) বেদবাক্য (খ)
সত্যবাক্য
(গ) অমৃত বাণী (ঘ) অমর বাণী