বাংলাদেশের অর্থনীতি-২০২২ ; বাংলাদেশের অর্থনীতি সাধারণ জ্ঞান

 


 

অর্থনীতিতে বাংলাদেশ

২০২১-২২ অর্থবছরে-      

  • GDP প্রবৃদ্ধির হার : ৭.১০%।
  • GDP এর ভিত্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশঃ ৩৫তম।
  • মাথাপিছু জাতীয় আয়ঃ ২৭৯৩ মার্কিন ডলার।
  • মাথাপিছু জিডিপিঃ ২৬৮৭ মার্কিন ডলার।      

খাতওয়ারী GDP- (২০২১-২০২২)

  •  GDP এর চূড়ান্ত হিসাবের ক্ষেত্রে অর্থবছরকে ভিত্তি বছর ধরা হয় ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরকে।
  •  GDP প্রবৃদ্ধি হিসাবের মোট খাত- ১৯টি।
  •  GDP এর পূর্ণরূপ- Gross Domestic Product  

খাত সমূহ         অবদানের হার     প্রবৃদ্ধির হার

কৃষি               ১১.৬১%           ৩.০৫%

শিল্প               ৩৬.৯২%           ৯.৮৬%

সেবা               ৫১.৪৮%           ৬.২৬%

 

বাজেট

  • কোনো নির্দিষ্ট অর্থ বছরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসাব নিকাশকে বাজেট বলে।
  • বাজেট শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ফরাসি শব্দ Boudgette থেকে। Boudgette শব্দের মূল অর্থ ব্যাগ বা থলে।
  • বাজেট শব্দটি প্রথম ব্যবহার হয়- ইংল্যান্ডে।
  • বিশ্বে প্রথম বাজেই পেশ করা হয়- যুক্তরাজ্যে (১৭৭৩)।
  • বিশ্বে প্রথম কল্যাণ বাজেট পাশ করে- নিউজিল্যান্ড।
  • উপমহাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন- লর্ড ক্যানিং (১৮৬১)।
  • বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করেন- তাজউদ্দিন আহমেদ।
  • বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হয়- ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৩০ জুন, ১৯৭২।
  • বাংলাদেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল- ৭৮৬ কোটি টাকা।
  • দেশের প্রথম জেলা বাজেট হয়- টাঙ্গাইলে (২০১৩)।
  • বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বাজেট উত্থাপনকারী-     আবুল মাল আবদুল মুহিত (১২বার) (টানা ১০ বার), প্রয়াত এম সাইফুর রহমান (১২ বার)।
  • সংবিধানে বাজেটকে বলা হয়- Annual Financial Statement.

 

  • সংবিধানে বাজেট ও অর্থসংক্রান্ত বিষয় বলা হয়েছে- ২য় পরিচ্ছেদে।
  • সংবিধানে অর্থ বছরের কথা বলা হয়েছে- ১৫২ নং অনুচ্ছেদে।
  • বাংলাদেশে বাজেট প্রণয়ন করে- অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
  • বাজেট সম্পর্কিত আইন- “সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৯” নামে পরিচিত।
  • দেশের ইতিহাসে সংক্ষিপ্ততম সংসদ অধিবেশন- ১১তম সংসদের ৭ম অধিবেশন (১৮ এপ্রিল,২০২০)।
  • দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত বাজেট অধিবেশন হয়- ৯ দিন (একাদশ সংসদের ৮ম অধিবেশন)।
  • জাতীয় বাজেট ২০২২-২০২৩
  • ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ৫১তম এবং আন্তবর্তীকালীন বাজেটসহ ৫২তম।
  • বাংলাদেশে এ পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন বাজেট উপস্থাপিত হয়েছে ১টি।
  • ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে এই একমাত্র অন্তবর্তীকালীন বাজেট উপস্থাপিত হয়।
  • ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরের ২বার বাজেট উপস্থাপন হয়।
  • আয়কর সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
  • আয়কর কর্তৃপক্ষের নিকট আয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপনের মাধ্যমকে আয়কর বলা হয়।
  • আধুনিক আয়কর ব্যবস্থার জনক- উইলিয়াম পিট।
  • উইলিয়াম পিট আয়কর ব্যবস্থা প্রণয়ন করেন- ১৭৯৯ সালে।
  • ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম আয়কর প্রথা চালু হয়- ১৮৬০ সালে।
  • কর বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীন।
  • বর্তমানে বাংলাদেশে আয়কর নির্ধারণে অনুসরণ করা হয়- আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪।
  • বাংলাদেশে কর অঞ্চল- ৪টি (ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা)।
  • বাংলাদেশে কর উপ-অঞ্চল- ১৫টি।   ১. ঢাকা- ৮টি, ২. চট্টগ্রাম- ৩টি, ৩.  রাজশাহী- ২টি, ৪. খুলনা- ২টি।
  • জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (ঘইজ) গঠিত হয় ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৭৬নং আদেশ বলে।
  • জাতীয় আয়কর দিবস- ৩০ নভেম্বর।
  • জাতীয় আয়কর দিবস পালিত হয়- ২০১৬ সাল থেকে।
  • বাংলাদেশে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে- ২০১০ সাল থেকে।
  • আয়কর মেলার আয়োজক- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
  • EFD এর পূর্ণরূপ- Electronic Fiscal Device.
  • TIN কার্যকর হয়- ১ জুলাই, ১৯৯৪।
  • e-TIN পদ্ধতি চালু হয়- ১ জুলাই, ২০১৩।
  • নতুন TIN ১২ ডিজিট বিশিষ্ট একটি নাম্বার।
  • বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আয় করে থাকে VAT থেকে।
  • VAT-এর পূর্ণরূপ- Value added Tax
  • বর্তমানে VAT চালু আছে- ১৬০ দেশে।
  • বাংলাদেশে মূসক চালু হয়- ১ জুলাই, ১৯৯১।
  • মূসক দিবস- ১ জুলাই।                                 
  • বিশ্বে ১ম ভ্যাট চালু হয়- জার্মানিতে (১৯২২ সালে)।
  • দেশের ১ম কর ন্যায়পাল- খায়রুজামান চৌধুরী। (দায়িত্ব গ্রহণ- ৯ জুলাই, ২০০৬)
  • BBC ও Guardian এর জরিপ অনুযায়ী কয়েকটি শীর্ষ Tax Haven সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, মরিশাস, লুক্সেমবার্গ, জার্সি, বারমুর্ডা।

 অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২২

  • “বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা” অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি নিয়মিত বার্ষিক প্রকাশনা।
  • বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা- ২০২২ অনুযায়ী।
  • জনসংখ্যা- ১৬ কোটি ৯৬ লক্ষ।      
  • বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে- যুক্তরাষ্ট্রে।
  • জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার- ১.৩৭%।      
  • পুরুষ ও মহিলার অনুপাত-১০০.২:১০০।
  • মাথাপিছু আয়- ২,৮২৪ মার্কিন ডলার।
  • জনসংখ্যা ঘনত্ব- ১,১৪০ জন।
  • মূল্যস্ফীতি- ৫.৮৩%।       
  • স্থূল জন্মহার- ১৮.১ জন।
  • সুপেয় পানি গ্রহণকারী- ৯৮.৩%।    
  • শিশু মৃত্যুহার- ২১।
  • স্থূল মৃত্যুহার- ৫.১ জন।    
  • চরম/হত দরিদ্রের হার- ১০.৫%।
  • দারিদ্রের হার- ২০.৫%।    
  • আর্থিক প্রতিষ্ঠান- ৩৪টি।
  • জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার- ৭.২৫%।      
  • বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পায়- সৌদি আরব থেকে।
  • মাথাপিছু জিডিপি- ২৭২৩ মার্কিন ডলার।      
  • বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আমদানি করে- চীন থেকে।
  • ডাক্তার ও জনসংখ্যার অনুপাত- ১:১৭২৪।     
  • সাক্ষরতার হার- ৭৫.২%।
  • GDP তে শিল্পখাতের অবদান- ৩৪.৯৯%।     
  • মোট ব্যাংক- ৬১টি (সর্বশেষ: সিটিজেন ব্যাংক লিঃ)
  • প্রত্যাশিত আয়ুস্কাল- ৭২.৮ বছর।    
  • রাষ্ট্রায়াত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক- ৬টি, বিশেষায়িত ব্যাংক- ৩টি,
  • বেসরকারি ব্যাংক- ৪৩টি, বৈদেশিক ব্যাংক- ৯টি।

৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫)

  • ১৯২৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে সর্বপ্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়। এই ব্যবস্থার প্রবর্তক স্ট্যালিন।
  • বাংলাদেশে ১ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নেওয়া হয়- ১৯৭৩-১৯৭৮ সালে।
  • বাংলাদেশ সরকার “ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে যে ৪টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তন্মধ্যে প্রথমটি হলো ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা।
  • ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদকাল- ২০২১-২০২৫।
  • ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ১ম ধাপ- ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি নেওয়া।
  • ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরি করেছে- পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (GED)।
  • প্রস্তাবিত স্লোগান- “দক্ষতার উন্নয়নে বিনিয়োগ
  • বিশেষ প্রাধান্য পাবে- গ্রাম (প্রত্যন্ত গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে গ্রামীন অর্থনীতির বৈচিত্র আনা হবে)।
  • বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রধান অঙ্গীকার- “আমার গ্রাম, আমার শহর
  • প্রধান লক্ষ্য- পাশ্চাত্যের দেশগুলোর মত গ্রামগুলোকে সাজিয়ে ১.৫ কোটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার কৌশল।

গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যসমূহ-       

    ১। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.৫% অর্জন।

          ২। দারিদ্র্যের হার ১২.১৭% এ নামিয়ে আনা অতি ও দারিদ্র্যের হার ৫.২৮% এ নামিয়ে আনা।

          ৩। ৭৭ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ, যার ৭৬% বেসরকারি খাতের।

          ৪। ৭৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি।

          ৫। ডেল্টা প্লান-২১০০ এর কার্যক্রম শুরু।

          ৬। মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য- ৪.৮%।

 গুরুত্বপূর্ণ খাত-  

        ১। কর্মসংস্থান তৈরিতে প্রবৃদ্ধি বা জিডিপি গ্রোথ।

        ২। সবার সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে সাম্য ও সমতা।

        ৩। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করা।


রূপকল্প- ২০৪১

  • বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা “রূপকল্প-২০৪১ বা “ভিশন- ২০৪১ নামে পরিচিত।
  • বাংলাদেশের ২য় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার মেয়াদকাল- ২০২১-২০৪১।
  • ECNEC সভায় “রূপকল্প-২০৪১ অনুমোদন পায়- ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০।
  • রূপকল্প-২০৪১ এর চ্যালেঞ্জ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে- ১৫টি।
  • রূপকল্প- ২০৪১ নির্ভরশীল- ৪টি স্তম্ভের উপর যথা: ১. সুশাসন, ২. গণতন্ত্রায়ন, ৩. বিকেন্দ্রীকরণ, ৪. সক্ষমতা বৃদ্ধি।
  • রূপকল্প- ২০৪১ বাস্তবায়নে মোট পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হবে- ৪টি।
  • রূপকল্প-২০৪১ এর প্রধান অভীষ্ট- ২টি। যথা:

১। গড় মাথাপিছু আয় ১২,৫০০ মার্কিন ডলারে উন্নীত করার মধ্যে দিয়ে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে।

২। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উদ্ভাবনী জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা।

রূপকল্প-২০৪১ এর অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা সমূহ হচ্ছে-

  • প্রত্যাশিত গড় আয়ু- ৮০ বছর       
  • প্রত্যাশিত বিনিয়োগ জিডিপির- ৪৬.৮৮%      
  • দারিদ্র্যের হার- ৫%        
  • চরম দারিদ্র্যের হার - ০.৬৮%

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন