দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
বিষয়: ভাব-সম্প্রসারণ
শ্রেণি: ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম, ১১ম, SSC, HSC, JSC
ভাবসম্প্রসারণ: দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
মূলভাব: বিদ্যা মানব
জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। এটা সকল জ্ঞানীলোকের ভূষণ। বিদ্বান ব্যক্তি সর্বত্র সম্মানিত।
কিন্তু এই বিদ্বান ব্যক্তিই যদি দুর্জন বা চরিত্রহীন হয় তাহলে সে হয় সমাজের
শত্রু। তাকে সকলেই ঘৃণা করে।
ভাবসম্প্রসারণ: লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু এখানে
সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তার চরিত্র। যার চরিত্র নেই সে শুধু ঘৃণার পাত্রই নয় বিপজ্জনকও বটে। চরিত্রহীন ব্যক্তি শিক্ষিত হলেও দুর্জন বলে আখ্যায়িত। লেখাপড়া শিখে যদি চরিত্রই গঠন করা না যায়, তবে সে বিদ্যার কোন সার্থকতা নেই। চরিত্রহীন লোক অতি সহজেই মানুষের কিংবা সমাজের ক্ষতি করতে পারে। একজন দুশ্চরিত্র বিদ্বান তার বিদ্যাকে খারাপ কাজে প্রবৃত্ত করে। এতে করে মঙ্গলের সমস্ত সম্ভাবনা তিরোহিত হয়। সমাজের বুকে নেমে আসে অভিশাপ যার বিষবাষ্পে সবকিছু পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। প্রবাদ আছে, 'সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।' সঙ্গদোষে মানুষ অনেক সময় তার সর্বস্ব হারায়। চরিত্রহীন ব্যক্তি এতটাই পদস্খলিত হয় যে, সে অত্যন্ত নীচ স্তরে চলে যেতেও কুণ্ঠিত হয় না। চরিত্রহীন বিদ্বান ব্যক্তি আমাদের সমাজে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এরা খুব সহজেই অপরকে প্রভাবিত করে। এদের মিথ্যা আলোর ঝলকানি দেখে যারা আকৃষ্ট হয় তারা হয় সর্বস্বান্ত। বিষধর সাপের মাথায় মহামূল্যবান মণি থাকলেও যেমন তার সঙ্গ কামনা করা উচিত নয়; তেমনি চরিত্রহীন ব্যক্তি বিদ্বান হলেও তাকে এড়িয়ে চলা উচিত। এদের দ্বারা সমাজ ও জাতির উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।
মন্তব্য: দুর্জন
ব্যক্তি সকলের কাজে ঘৃণার পাত্র এবং পরিত্যাজ্য। এদের দ্বারা মানবতা পদে পদে লাঞ্ছিত হয়। তাই এদের সহচার্য এড়িয়ে
চলা উচিত৷