বাক্য ও সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য লিখ।

বাক্য ও সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য লিখ।

প্রশ্ন: বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য লিখ।
বাক্য:- পরস্পর অর্থ সম্বন্ধবিশিষ্ট যেসব পদ দ্বারা একটি সম্পূর্ণ ধারণা বা বক্তব্য বা ভার প্রকাশ পায় সেই পদগুলোর সমষ্টিকে বাক্য বলে। যেমন- ‘‘চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে কদম তলায় কে।’’ এখানে চাঁদ, ফুল ও কদমতলা সম্পর্কে কয়েকটি শব্দ দ্বারা মনের ভাব প্রকাশ পেয়েছে।

সার্থক বাক্যের গুণাবালি বা বৈশিষ্ট্য বা লক্ষণ:

বাক্যকে সার্থক করে গঠন করতে হলে দিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়। যথা:-

১. আকাঙ্ক্ষা : বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে। যেমন- ‘আমি বাড়ি’ বললে বাক্যটি মনের সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে না, আরও কিছু আকাঙ্ক্ষা থাকে। ‘আমি বাড়ি যাব’ বললে বাক্যটি পূর্ণ হয় এবং আকাঙ্ক্ষা মিটে যায়।

২. আসত্তি :  বাক্যের অর্থসংগতি রক্ষার জন্য ‍সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসই আসত্তি। যেমন- ‘‘ভালো কবিতা হক লেখেন লিলি’’ বললে পদবিন্যাস সঠিকভাবে না হওয়ায় মনোভাবটি ঠিকমতো  প্রকাশ পাযনি। কিন্তু ‘‘লিলি হক ভালো কবিতা লেখেন’’ বললে পদবিন্রাস সঠিক হওয়ার কারণে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। বাক্যের মধ্যে এ আসত্তিগুণ থাকা আবশ্যক।

৩. যোগ্যতা : বাক্যস্থিত পদসমূহের অর্থগত ও ভাবগত মিল বা সংগতি সাধনকে যোগ্যতা বলে। যেমন- ‘‘আকাশে পদ্ম ফোটে।’’ এ পদসমষ্টিতে এক পদে সাথে অন্য পদের অর্থগত মিল নেই। কারণ আকাশে পদ্ম ফোটে না। কিন্তু যদি বলা হয় ‘‘পুকুরে পদ্ম ফোটে’’ তবে পদগুলোর অর্থগত মিল পাওয়া যায়। সুতরং বাক্যে আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতা এই তিনটি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন।


  • বাক্য প্রকরণ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুনএখানে 
  • গঠন অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ জানতে এখানে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন