বিভিন্ন কবিতার প্রয়োগদক্ষতা অংশের অনুধাবনমূলক

 


বঙ্গবাণী

মানব মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ভাষা। প্রত্যেকেই তার নিজস্ব মাতৃভাষার মাধ্যমে তার মনের ভাব প্রকাশ করে। আর সেই মাতৃভাষাকে অবহেলা করে অন্যভাষা শেখা অর্থই নিজের ভাষার প্রতি উন্নাসিকতা প্রকাশ মাত্র। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের কাছে মাতৃভূমি ও মাতৃভাষা উপেক্ষিত ও অবহেলিত। কবি এদেরকে নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্য দেশে চলে যাওয়ার কথা বলেছেন।

কপোতাক্ষ নদ

দেশ ও দেশের প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক আজীবনের। মানুষ চাইলেই তা ভুলে যেতে পারে না। যার মধ্যে দেশপ্রেম আছে সে দেশ ছেড়ে দুরে থাকলেও তার মধ্যে দেশ চির জাগ্রত থাকে। দেশের স্মৃতি তাকে মাঝে মাঝে আবেগপ্রবণ করে তোলে।

স্বদেশের প্রতি, জন্মভূমির প্রতি সবারই প্রগাঢ় মমত্ববোধ থাকে। বিশেষত যারা স্বদেশ ছেড়ে দূরে অবস্থান করে তাদের চেতনায় দেশ, দেশের মানুষ অনন্য মহিমায় ভাস্বর।

জীবন সঙ্গীত

জন্ম হোক তথা কর্ম হোক ভালো। মানুষ তার জন্মে নয় কর্মে বাঁচে। জীবনে ব্যর্থতা আসতেই পারে কিন্তু সেই ব্যর্থতাই জীবনের সব নয়। ব্যর্থতাকে সফলতায় রূপান্তরিত করতে জীবনে কঠোর সংগ্রাম করতে হয়। মূলত কঠোর সংগ্রাম ও নিরন্তন সাধনার মাধ্যমে জীবনে সফলতা অর্জন করা যায়।

ঝর্ণার গান

প্রকৃতি ও মানব মনের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। জীবন গতিময় প্রকৃতিও তাই। ঝর্ণা প্রকৃতির এক অপরূপ দান। ঝর্ণার গতি ও সৌন্দর্য মানব মনকে আলোড়িত করে। ঝর্ণার এ অপ্রতিরোধ্য গতিশীলতা, ধ্বনিমাধুর্য ও বর্ণবৈভবের যে সৌন্দর্য তা তুলনারহিত।

মানুষ

হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির কাবা নেই। মানব ধর্মই বড় ধর্ম। মানবতার উর্ধ্বে কিছু নেই। প্রাণি জগতে একমাত্র মানুষকে স্রষ্টা বুদ্ধি, বিবেক ও আত্মসংযম দিয়েছেন। তাই মানুষের কাছ থেকে সর্বদা সেরা আচরণ কাম্য হওয়া উচিত। এর ব্যতিক্রম হলে মানুষের আসল পরিচয় ব্যাহত হয়।

সেই দিন এই মাঠ

মানুষ নশ্বর কিন্তু প্রকৃতি অবিনশ্বর। কেউ এই পৃথিবীর বুকে চিরদিন বেঁচে থাকবে না। সমাজ, সংসার পৃথিবী সব কিছু ছিন্ন করে মানুষ একদিন পাড়ি জমাবে পরপারে। কিন্তু এই প্রকৃতি তার উপাদান দ্বারা চিরকালই সৌন্দর্য প্রকাশ করে যাবে।

 

মানব গড়া সভ্যতা এখন ধ্বংস স্তুপ ছাড়া আর কিছুই নয়। কালের বির্বতনে এসব ধ্বংস হলেও প্রকৃতির অফুরন্ত ঐশ্বর্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় না, অনন্তকাল টিকে থাকে। এজন্য মানুষ ও তার সৃষ্ট সভ্যতার বিনাশ ঘটলেও  প্রকৃতির অফুরন্ত সৌন্দর্য বিলীন হয়ে যায় না।

পল্লি জননী

মায়ের মতো মমতাময়ী পৃথিবীতে আর কেউ নেই। সন্তানের সুখে দুঃখে কেবল মা ই সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন। সন্তানের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে মা সব্বোর্চ ত্যাগ করেন। মায়ের কোল ও বুক যে সন্তানের কাছে পরম আশ্রয়স্থল তা বলে শেষ করা যাবে না।

আশা

জাগতিক এই পৃথিবী ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। মানুষ ক্রমশ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। কিন্তু যারা সত্যিকার মনুষ্যত্বের অধিকারী, তারা নিজের চেয়ে বেশি অন্যের চিন্তায় বিভোর থাকে। নিজের সুখের জন্য তারা কখনোই অন্যকে কষ্ট দেয় না বরং অল্পতেই তারা সুখ অনুভব করে।

আমি কোনো আগন্তুক নই

জন্মভূমির সাথে আমাদের অস্তিত্ব বাঁধা। নিজ জনপদের মধ্যে থেকেই মানুষ সমগ্র দেশকে আপন করে অনুভব করে। নিজ জনপদের প্রকৃতি ও মানুষকে আপন করতে পারলে সমগ্র দেশের মানুষকেই আত্মীয় মনে হয়। কারণ তখন সবকিছুকেই মানুষ নিজ সত্তায় অনুভব করতে পারে।

রানার

কর্মজীবনে মানুষকে নানা রকমের কর্তব্য পালন করতে হয়। পৃথিবীতে যারা দায়িত্বশীল এবং দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠাবান তারাই সুন্দর চরিত্রের মানুষ। সূচারুভাবে দায়িত্ব সম্পাদনের ভেতর দিয়ে কর্তব্যনিষ্ঠার পরিচয় দিতে পারে। জীবন ও সমাজের অগ্রগতির জন্য দায়িত্বশীল ও কর্তব্যনিষ্ঠ মানুষের গুরুত্ব অপরিসীম।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন