সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘বহিপীর’প্রকাশিত হয় ১৯৬০ সালে রচিত হয় তারো আগে ১৯৫৫ তে বহিপীর দু-দৃশ্য বিশিষ্ট একটি সল্পায়তনের নাটক। দৃশ্যকাল হেমন্ত মোট চরিত্র সংখ্যা আট জন। বহিপীর নাটকের বিষয় বস্তু বা ঘটনার তেমন কোন জটিলতা নেই। নাটকটির কাহিনী সরল কিন্তু নাট্যকার সংলাপের মাধ্যমে তাতে সাসপেন্সের প্রবাহকে গতিমান করেছেন, ফলে সৃষ্টি হয়েছে কাহিনীর গভীরতা।
বহিপীর নাটকের পটভূমিকা পল্লী সমাজ হলেও আধুনিক নব-নারীর মনে যে আত্ম অধিকারের দাবী আজ আমাদের সমাজে লেগেছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে এখানে। পীর মুর্শিদ ভক্তি আমদের মজ্জাগত সংস্কার কিন্তু মানবিক অধিকারের দাবীতে যে এ সংস্কারে শৈথিল্য এনেছে তারই কিছুটা ছাপ আমরা এ নাটকে দেখতে পাই। শুধু মুরীদদের অন্তরে নয় পীর ও যে আজ জীবন ধর্মে বিচলিত তারও প্রথাগত জীবনে পরিবর্তন আসতে পারে তারও ইঙ্গিত এখানে আমরা পাই।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ‘বহিপীর’নাটকে
তিনটি বিষয়ের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন।
- জমিদারি প্রথা বিলু্প্ত হবার উপক্রম হয়েছে।
- পীর ফকিরের উপর মানুষের আস্থা ক্রমশ কমে যাচ্ছে।
- হৃদয় বৃত্তি ও নতুন জীবনের স্বীকৃতি রেয়েছে। যদিও জমিদার কিংবা পীর সাহেব প্রাচীন মূল্যবোধকে আকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন।
‘বহিপীর’ নাটকের চরিত্র সমূহকে নাট্যকার দুই দলে বিভক্ত করেছেনঃ- প্রাচীন পন্থী ও নব্যপন্থী। প্রথম দলে রয়েছেন বহিপীর, হাতেম আলী, খোদেজা এবং দ্বিতীয় দলে আছেন হাশেম আলী ও তাহেরা এরা স্ব স্ব ভূমিকায় উজ্জল তাছাড়া হাকিকুল্লাহ নামে একটি অপ্রধান চরিত্র আছে। সে পরী সাহেবের সেবক।
নিন্মে আমরা চরিত্রগুলি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।
বহিপীর: নাটকের প্রধান চরিত্র হল বহিপীর। বই এর ভাষায় কথা বলেন
বলে তিনি বহিপীর। বহিপীরের প্রথম স্ত্রী মারা যাবার ১৪ বছর পর জনৈক পেয়ারা মুরিদের
মেয়েকে তিনি পুনরায় বিবাহ করেন। কিন্তু তার স্ত্রী বিয়ের রাতেই ঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
বিশ শতকের মাঝামাঝিতে বাঙালী সমাজেও মূল্যবোধের
পরিবর্তন এসেছে। মানুষ আত্ম-আবিষ্কার ও আত্ম অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব হয়েছে।
এ সময় পবিত্রতা সন্ধানী বহিপীর যিনি মানুষের কাছে খোদার বানী পৌছে কর্তব্য মনে করেন
তার কন্ঠেও শোনা যায় ‘যাহা চাহিয়া ছিলাম তাহা পাই নাই, কেবল মুরিদানা করিয়াই জীবন কাটাইয়াছি।
মধ্যে মধ্যে ভাবি, সমস্ত ছাড়িয়া ফেলিয়া বাহির হইয়া পড়ি যেই দিকে দুই চোখ যায়। কিংবা
আমার মনে শান্তি নাই আল্লাহর ধ্যান করিলে শান্তি হয় বটে কিন্তু ধ্যান করি যার জন্য
প্রথমে শান্তি চাই, কিন্তু সে শান্তি কোথায়? কিন্তু এ বোধ তার বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
যখন তিনি তার পলাতক বিবির সন্ধান পেয়েছেন, তখন বলেছেন, আমি নির্বোধের মত কী যে বলিতেছিলাম।
হাশেম তার শারিরীক অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন জ্বর সত্ত্বেও বেশ চাঙ্গা বোধ করিতেছি।
এমনিভাবে বহিপীরে ভন্ডামী, যৌন পিপাসা ও স্বার্থবাদী মনোবৃত্তির যাত্রা শুরু হয়েছে।
পীর সাহেব বুঝতে পেরেছেন যে, হাশেম তাহেরার দিকে ঝুকে পড়েছে। এ অবস্থায় তাহেরাকে সহজে
তার সাথে ফেরানো যাবে না। তাই তিনি বিভিন্ন যুক্তি কৌশলে মাথা গরম না করে হাতেম আলীর
জমিদারি রক্ষার জন্য টাকা ধার দেবার লোভ দেখিয়ে বিবি তাহেরাকে ফিরে পেতে চেয়েছে।
শেষ পর্যন্ত হাতেম আলী টাকা নেন নি। উপরন্তু হাশেম তাহেরাকে নিয়ে পালিয়েছে। তখন পীর সাহেব দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল এতক্ষণে ঝড় থামিল! নাটকের শেষের সংলাপ ছিল- আসুন জমিদার সাহেব আমরা আপনার জমিদারি রক্ষার ব্যবস্থা করি।
হাশেম আলী: হাতেম আলীর একমাত্র পুত্র
হাশেম আলী কলেজের লেখাপড়া শেষ করেছে। এখন সে ছাপাখানার ব্যবস্থা করতে ইচ্ছুক। হাশেম
কে দিয়েই নাটকের সংলাপ শুরু- ‘কী ঝড়ই হলো শেষ রাতে। এমন ঝড় কখনো দেখিনি।’এ ঝড়
প্রাকৃতিক। তারপর সারা নাটকে যে ঝড় রয়েছে তা সাংসারিক,বৈষয়িক,হৃদয়বৃত্তিক। এর সাথে
জড়িত আছে সকলের অস্তিতের প্রশ্ন। নাটকের শেষে যখন হাশেম তাহেরাকে নিয়ে বেরিয়ে গেছে,তখন
পীর সাহেব বলেছেন ‘এতক্ষণে ঝড় থামিল। অতএব ‘বহিপীর’ নাটকে হাশেম আলী একটি গুরুত্বপূর্ণ
চরিত্র যার অন্তরলগ্ন প্রেমিক পুরুষ সুলভ চঞ্চলতা নাট্যবস্তুর নিজস্ব মেজাজের সাথে
উচ্চকিত হয়েছে। বৃদ্ধ প্রাচীন পন্থী পীরের কাছে সে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।
নাটকের প্রথম থেকেই তাহেরার প্রতি হাশেমের উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। তবে হাশেমের সাথে প্রেম, ভালোবাসা কিংবা হৃদয়ের তাড়না খুব বেশি পরিমাণ ছিল তা বলা যায় না। বরং দায়িত্ব বোধের তাড়নায় সে তাহেরাকে বাঁচাতে চেয়েছে। সে নিজে বলেছে ‘আম্মা! আমি তাকে বাচাঁবোই। তাকে বিয়ে করে হলেও বাচাঁবোই। নাটকীয় দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টিতে হাশেম চরিত্রটি সহায়ক হয়েছে। হাশেমের জন্যই পীর সাহেবের যত মাথা ব্যথা। ঐ কামরায় একরা ঢুকিলে সে যেন জোকের মত লাগিয়া থাকে অত আকর্ষণ কিসের?
নাটকের শুরুতে যে চরিত্রটি ছিল শান্তশিষ্ট মাতৃ-পিতৃভক্ত এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনার অধিকারী সেই হাশম, নাটকের শেষ পর্যায়ে এসে হয়েছে বিদ্রোহী। হাশেমের এই পরিবর্তনের পেছনে নিঃসন্দেহে কাজ করেছে গ্রাম্য যুবতী মেয়ে তাহেরা-যার হাত ধরে সে নতন জীবনের পা বাড়িয়েছে।
তাহেরা: ‘বহিপীর’ নাটকের
আত্মসচেতন নায়িকা সে প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছে।
বৃদ্ধ পীরের সাথে তার বিয়ে হয়েছে তা সে মেনে নিতে পারেনি। তাই বিয়ের প্রথম রাতেই সে
ঘর ছেড়ে পালিয়েছে সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে তার ধারালো কন্ঠস্বরঃ- যে বুড়ো পীর সাহেবের
.......... আমি কি বকরী ঈদের গরু ছাগল নাকি? পীরের সাথে
বিয়ে হওয়ার কারণে সে নদীকে আশ্রয় করতে গিয়েছিল, তার মানে এই নয় যে সে নদীতে ডুবে মরতে
চেয়েছে। খোদেজা ও তার নিজের কথা থেকে তা প্রমাণিত হয়। তাহেরার উক্তি; আপনারা ভাবছেন
সত্যি সত্যি আমি পানিতে ঝাপ দিতাম? নিজের জান নেওয়া কি অতই সোজা? এখানে তার আশ্চর্যজীবন
প্রীতি লক্ষ্য করা যায়। পীর সাহেব কেবল বুড়ো বলেই তাকে ত্যাগ করেননি, যে কোন যুবক কে
ভাল না জেনেও সে গ্রহণ করতে নারাজ। এ ব্যাপারে সে আধুনিক যুক্তিবাদী নারী। তাই হাশেম
তাকে বিয়ে করতে চাইলে সে তাকে কথা আপনাকে কে বলল? তাহেরা আত্মমর্যাদা সম্পন্ন সাহসী
নারী। তাই সে পীরকে বলতে পেরেছে, আমাকে বিবি সাহেব ডাকবেন না। বিয়েতে আমি মত দিই নাই।
আপনার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়নি।
এই দৃঢ় চেতা নারীও শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের জালে পা দেবার কথা ভেবেছে। সে বলেছে কী আর করব (একটু হেসে) যে লোক বৃদ্ধ হয়েও এত বুদ্ধিমান তার কাছে ফিরে যেতে হবে। হাশেম তাকে ফিরে যেতে দেয়নি। ধরে রেখেছে। নতুন ঘর করার জন্য বের হয়েছে। প্রাচীন ও গোড়া মূল্যবোধের মূলে তারা কাঁপন তুলেছে নতুন জীবনের জয়গান গেয়েছে।
খোদেজা: জমিদার পত্নী ‘খোদেজা চরিত্রটি
নাট্যকারের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আমাদের মতে খোদেজা হল রক্ষণশীল, ধর্মভীরু বাঙালি রমনী।
তিনি স্নেহ প্রবণ এবং ক্ষেত্রবিশেষ স্বার্থবাদী। একদিক এই চরিত্রটি আমাদের বেশ পরিচিত
প্রতিবেশি। তিনি তাহেরাকে স্নেহ মাখা কন্ঠে বলেছেন ‘পীর মানুষ স্বামী ক’জনের
কপালে জোটে?
টেস্ট পরীক্ষায় আগত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নসমূহ
১.
হাশেম পড়াশুনা শেষ করে কী করতে চায়?
ক.
গারিব লোকদের উন্নয়ন করতে চায়
খ.
তাহেরাকে বিয়ে করতে চায়
গ.
ব্যাবসা বাণিজ্য করতে চায়
ঘ.
ছাপাখানা দিতে চায়
২.
বহিপীরের প্রথম স্ত্রী কত বছর পূর্বে মারা যায়?
ক.
১০ বছর খ. ১২ বছর
গ.
১৪ বছর ঘ. ১৬ বছর
৩.
হাতেম আলী সত্যিকার অর্থে শহরে এসেছিলেন-
i. জমিদারি রক্ষা করতে
ii. টাকার জোগাড় করতে
iii. চিকিৎসা করতে
নিচের
কোনটি সঠিক
ক.
i ও ii খ. ii ও iii
গ.
i ও iii ঘ.
i, ii ও iii
৪.
হাতেম আলীকে একা শহরে আসতে দিল না কেন?
ক.
অসুস্থ বলে খ. রাস্তা চেনে না
গ.
শত্রু আছে বলে ঘ. শহরে ঝামেলা তাই
৫.
বাঙালি মুসলমান সমাজে পীর সম্প্রদায়ের সৃষ্টির কারণ-
ক.
সমৃদ্ধি খ. সুখ-শান্তি
গ.
কুসংস্কার ঘ. সমাজ পরিবর্তন
৬.
বহিপীর নাটকে তুলে ধরা হয়েছে-
i. জমিদারি প্রথা
ii. যৌতুক প্রথা
iii. পীর ভক্তি
নিচের
কোনটি সঠিক
ক.
i ও ii খ. ii ও iii
গ.
i ও iii ঘ.
i, ii ও iii
৭.
বহিপীর নাটক কত সালে প্রকাশিত হয়?
ক.
১৯৫০ খ. ১৯৬০
গ.
১৯৬১ ঘ. ১৯৬২
৮.
বহিপীর নাটকের সময়কাল কখন?
ক.
উনিশ শতকের শুরু
খ.
উনিশ শতকের মধ্যভাগ
গ.
উনিশ শতকের শেষভাগ
ঘ.
বিশ শতকের মধ্যভাগ
৯.
নাটকের প্রাণ বলতে বুঝায়?
ক.
অঙ্ক খ. কাহিনী
গ.
সংলাপ ঘ. চরিত্র
১০.
গূঢ়তত্ত্ব বলতে পীর সাহের কী বুঝাতে চেয়েছেন?
ক.
প্রচ্ছন্ন কোনো ব্যাপার
খ.
অপ্রকাশিত কোনো ব্যাপার
গ.
দুর্বোধ্য কোনো ব্যাপার
ঘ.
একান্ত কোনো ব্যাপার
উদ্দীপকটি
পড় এবং ১১ ও ১২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
পরিবারের
চাপিয়ে দেওয়া পাত্রকে বিয়ে করতে নারাজ স্বাধীনচেতা কমলা। তাই বাড়ি থেকে পালিয়ে বান্ধবীর
বাসায় উঠে। সে উচ্চ শিক্ষিতা কমলা একটা চাকরি জোগাড় করে স্বাধীনভাবে নিজের মতো করে
থাকতে পারবে। নিজের উপরে এই আত্মবিশ্বাস আছে কমলার।
১১.
উদ্দীপকের সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার সাদৃশ্য কোথায়?
ক.
কোনো ভাবনা না ভেবেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া
খ.
পছন্দের মানুষকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া
গ.
পালিয়ে কোথায় যাবে তা স্থির করা
ঘ.
চাপিয়ে দেওয়া বিয়ে করবে না বলে পালিয়ে যাওয়া
১২.
উভয়ের বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া সমর্থন করা যায়-
i. ব্যক্তি স্বাধীনতার
হস্তক্ষেপের কারণে
ii. অনুপযুক্ত পাত্রের
সাথে বাবা মা বিয়ে দিয়েছিল বলে
iii. বিয়েতে তাদের মত
নেওয়া হয় নি বলে
নিচের
কোনটি সঠিক
ক.
i ও ii খ. ii ও iii
গ.
i ও iii ঘ.
i, ii ও iii
১৩.
‘মেয়েটার ঘাড়েও শুধু শয়তান বসে নাই’ তার ভেতরেও শয়তান’Ñ উক্তিটি কার?
ক.
খোদেজার খ. হকিকুল্লার
গ.
হাতেম আলি ঘ. বহিপীর
১৪.
বহিপীর নাটকে হাতেম আলির সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে কোন দিকটি ফটে উঠেছে?
ক.
স্বার্থপরতা খ. আত্মকেন্দ্রিকতা
গ.
রক্ষণশীলতা ঘ. মানবিকতা
১৫.
বহিপীরের মুরিদরা তাকে
i. অবসর দেয় নাই
ii. আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে
রেখেছে
iii. এবাদত করার ফুসরত
দেয় নাই
নিচের
কোনটি সঠিক
ক.
i ও ii খ. ii ও iii
গ.
i ও iii ঘ.
i, ii ও iii
১৬.
‘‘আমার সত্যিই আর ভালো লাগছে না’’ উক্তিটি কার?
ক.
তাহেরা খ. বহিপীর
গ.
হাশেম ঘ. হাতেম
১৭.
‘‘দুনিয়াটা সত্যি কঠিন ক্ষেত্র’’ কার উক্তি?
ক.
হাতেম আলি খ. বহিপীর
গ.
হাশেম আলি ঘ. তাহেরা
১৮.
‘‘বদ লোকেরা তোমাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে’’ উক্তিটি কার?
ক.
হাতম খ. হাশেম
গ.
খোদেজা ঘ.তাহেরা
১৯
‘‘আমি কি বকরি- ঈদের গরু-ছাগল?’’ তাহেরার এ উক্তিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক.
তাচ্ছিল্য খ. অভিমান
গ.
প্রতিবাদ ঘ. ঘৃণা
২০.
‘আমি এভাবে টাকা নিতে পারব না। যায় যাক জমিদারী’’ উক্তিটিতে হতেম আলির কী প্রকাশ পেয়েছে?
ক.
কূটকৌশল খ. মানবিক মূল্যবোধ
গ.
ধূর্ততা ঘ. বাস্তবজ্ঞান
উদ্দীপকটি
পড় এবং ২১ ও ২২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
মাঝ
উঠানে হঠাৎ বেঁকে বসল জমিলা। মজিদের বজ্র মুষ্টি হতে নিজের হাত ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা
করতে লাগল। হঠাৎ সিধা হয়ে মজিদের মুখে থুথু নিক্ষেপ করল।
২১.
উদ্দীপকের জমিলার সাথে বহিপীর নাটকের কোন চরিত্রের মিল রয়েছে?.
ক.
খোদেজা খ. তাহেরা
গ.
হাতেম আলী ঘ. হাশেম
২২
এরূপ সাদৃশ্যের কারণ হলো-
i. দুজনেই প্রতিবাদী
চরিত্র
ii. দুজনেই শক্তি শালী
iii. দুজনেই পীরের ভক্ত
নিচের
কোনটি সঠিক?
ক.
i ও ii খ. ii ও iii
গ.
i ও iii ঘ.
i, ii ও iii
২৩.
বহিপীর নাটকের প্রথম সংলাপটি কার?
ক.
হাশেমের খ. হাতেমের
গ.
তাহেরার ঘ. কাশেমের
২৪.
বহিপীর নাটকের খোদার বাণী বহনের ক্ষমতা নেই
ক.
সাধু ভাষার খ. কথ্য ভাষার
গ.
চলিত ভাষার ঘ. প্রমিত ভাষার
২৫.
হকিকুল্লাহ কে?
ক.
তাহেরার চাচা খ. জমিদারের সহযোগী
গ.
পীরের সহযোগী ঘ. হাশেম আলীর বন্ধু
২৬.
বিয়ে হলো তকদীরের কথা-উক্তিটি কার?
ক.
তাহেরার খ. খোদেজার
গ.
বহিপীরের ঘ. হকিকুল্লার
২৭.
নদীতে বেগুনি রঙের শাপলা থাকে না পদ্ম পলাশ থাকে না. খালি কচুরিপানা ভেসে যায়’ তাহেরার
এ উক্তিতে কী ফুটে উঠেছে?
ক.
অসহায়ত্ব খ. উদাসীনতা
গ.
তুচ্ছতাবোধ ঘ. নির্মোহ ভাব
২৮.
ধর্মীয় কুসংস্কার ও সামাজিক অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চরিত্র
ক.
হাতেম আলী খ. বহিপীর
গ.
হাশেম আলী ঘ. হকিকুল্লাহ
২৯.
বহিপীরের কানে কথ্যভাষা কেমন মনে হয়?
ক.
বাজে খ. কটু
গ.
গম্ভীর ঘ. হালকা
উদ্দীপকটি
পড় এবং ৩০ ও ৩১ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
জামিলার
বাবা জামিলার বিয়ে দিল তার পরিচিত ধনী বন্ধুর বেকার ছেলে সাহিদের সাথে। জামিলা রাজি
না থাকলে ও বাবার মুখ চেয়ে এই বিয়ে মেনে নেয়।
৩০.
উর্দ্ধতাংশের জামিলার মাঝে ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরা চরিত্রের কোন দিকটি অনুপস্থিত?
i. নারীত্ব
ii. আত্মমর্যাদাবোধ
iii. সাহসিকতা
নিচের
কোনটি সঠিক?
ক.
i ও ii খ. ii ও iii
গ.
i ও iii ঘ.
i, ii ও iii
৩১.
খোদেজার মতে তাহেরার সাহসের পরিচায়ক কোনটি?
ক.
ঘর ছেড়ে পালানো
খ.
বিয়েকে অস্বীকার করা
গ.
নদীতে ঝাঁপ দিতে চাওয়া
ঘ.
বহিপীরের ভয় না করা
৩২.
এমন ঝড় কখনো দেখেনি উক্তিটি কার?
ক.
হাশেমের খ. তাহেরার
গ.
খোদেজার ঘ. বহিপীরের
৩৩.
নাটকে সাধারণত কয়টি উপাদান থাকে?
ক.
দুটি খ.
তিনটি
গ.
চারটি ঘ. পাঁচটি
৩৪.
বহিপীর নাটকের সর্বশেষ সংলাপটি কার?
ক.
হাশেমের খ. বহিপীরের
গ.
হাতেমের ঘ. তাহেরার
৩৫.
বাড়ি থেকে পালানোর সময় তাহেরা সঙ্গী হয়েছিল তার-
ক.
চাচাত ভাই খ. সৎ ভাই
গ.
খালাত ভাই ঘ. মামাত ভাই
৩৬.
কোন ডাকটা হাতেমের কাছে ঠাট্টার মতো শোনায়?
ক.
বাদশা খ. জমিদার
গ.
মালিক ঘ. সাহেব
উদ্দীপকটি
পড় এবং ৩৭ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
আপনারে
লয়ে বিব্রত রহিতে আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের
তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরার পরের তরে’
৩৭.
‘বহিপীর’ নাটকের কোন চরিত্রের উদ্দীপকের বাস্তবতা পেয়েছে?
ক.
তাহেরা খ. হাশেম আলি
গ.
হাতেম আলি ঘ. বহিপীর
উদ্দীপকটি
পড় এবং ৩৮ ও ৩৯ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
সাথী
পরিবারের চাপিয়ে দেওয়া পাত্রকে বিয়ে করবে না বলে বাড়ি ছেড়ে বান্ধবীর বাসায় আছে. প্রাইভেট
টিউশন করিয়ে তার পড়াশুনা চলছে. তবুও অন্যায় মেনে নেয়নি.
৩৮.
উদ্দীপকের সাথের সাথে তাহের মিল কোথায়?
ক.
কোনো কিছু না ভেবেই বাড়ি থেকে পালানো
খ.
পছন্দের মানুষকে নিয়ে পালানো
গ.
বেড়ানোর জন্য
ঘ.
স্বাধীনতার জন্য
৩৯.
উভয়ের গৃহত্যাগের বিষয়টিকে যে কারণে সমর্থন করা যায়-
i. ব্যক্তিস্বাধীনতার
হস্তক্ষেপের কারণে
ii. বিয়েতে তাদের মত
দেওয়া হয়নি
iii. পাত্র অনুপযুক্ত
ছিল বলে
নিচের
কোনটি সঠিক?
ক.
i ও ii খ. ii ও iii
গ.
i ও iii ঘ.
i, ii ও iii
৪০.
বাড়ি ছেড়ে পালানোর সময় তাহেরার সঙ্গী হয়েছিল তার-
ক.
চাচা খ. চাচাত ভাই
গ.
সৎ ভাই ঘ. বোন
৪১.
তাহেরা আর বহিপীরের বার্তাবাহক কে ছিল?
ক.
হাশেম খ. হকিকুল্লাহ
গ.
হাতম ঘ. চাকর
৪২.
দুনিয়াটা সতি কঠিন পরীক্ষা ক্ষেত্র- উক্তিটি কার?
ক.
তাহেরার খ. হাশেমের
গ.
খোদেজার ঘ. বহিপীরের
৪৩.
তাহেরার মতে পীর সাহেব-
i. বুদ্ধিমান
ii. ভন্ড ধার্মিক
iii. অর্থলোভী
নিচের
কোনটি সঠিক?
ক.
i ও ii খ. ii ও iii
গ.
i ও iii ঘ.
i, ii ও iii
৪৪.
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পেশাগত জীবন শুরু হয় কী দিয়ে?
ক.
সাংবাদিকতা খ. শিক্ষকতা
গ.
আইন ব্যবস্থা ঘ. সরকারি কর্মকর্তা
৪৫.
কেবল কচুরিপানা কেবলকচুরিপানা ভেসে যায়- উক্তিটি কার?
ক.
খোদেজার খ. তাহেরার
গ.
বহিপীরের ঘ. হাশেমের
৪৬.
বহিপীরের মতে কার কাঁধে শয়তান চেপেছে?
ক.
খোদেজার খ. হাশেমের
গ.
তাহেরার ঘ. হকিকুল্লার
৪৭.
তাহেরা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল কেন?
ক.
সৎমায়ের অত্যাচারে
খ.
স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য
গ.
পছন্দের লোককে বিয়ে করার জন্য
ঘ.বৃদ্ধ
পীরের সাথে সংসার না করতে
৪৮.
পীর সাহেবের নৈৗকা আধা ডোবা হয়ে গেল কেন?
ক.
বজরার ধাক্কায়
খ.
অন্ধকারের কারণে
গ.
হাওয়ার তোড়ে
ঘ.
পাড়ে ধাক্কা খেয়ে
৪৯.
আমি পয়সাও চাই না ছাপাখানা ও চাই না হাশেমের এ উক্তিটিতে প্রকাশ পেয়েছে?
ক.
সমবেদনা খ. ঘৃণা
গ.
রাগ ঘ. ক্ষোভ
৫০.
বিয়ের ব্যাপার কী আইন মোকদ্দমা নাকি উক্তিটি কার?
ক.
তাহেরা খ. হাশেম আলি
গ.
হাতেম আলি ঘ. খোদেজা
৫১.
কোন ডাকটা হাতেমের কাছে ঠাট্টার মতো শোনায়?
ক.
বাবা খ. জমিদার
গ.
সাহেব ঘ. মালিক
৫২.
পীরসাহেবের চোখটা কীসের মতো দপ করে জ্বলে ওঠে?
ক.
আগুনের খ. হিংস্র জন্তুর
গ.
দোযখের শিখা ঘ. ক্রোধানলে