নাম : মাইকেল মধুসূদন দত্ত
জন্ম : ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি।
পিতা : রাজনারায়ণ দত্ত,
মাতা : জাহ্নবী দেবী।
জন্মস্থান : যশোর জেলার কেশবপুর থানাধীন সাগরদাঁড়ি গ্রাম।
শিক্ষাজীবন: ১৮৩৩ সালে কলকাতার হিন্দু কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে(১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি) তাকে হিন্দু কলেজ পরিত্যাগ করে শিবপুরের বিশপস কলেজে ভর্তি হতে হয়। তিনি ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য বিলেতে গিয়েছিলেন। কর্মজীবন প্রথমে আইন পেশায় জড়িত হলেও লেখারেখি করেই পরবর্তীকালে জীবিকা নির্বাহ করেন।
মৃত্যু : ১৮৭৩ সালে ২৯ শে জুন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
সমাধিস্থল : কলকাতার লেয়ার
সার্কুলার রোড।
নাটক : শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯) ,পদ্মাবতী (১৮৬০), কৃষ্ণকুমারী
(১৮৬১)।
প্রহসন : একেই কি বলে সভ্যতা (১৮৬০), বুড়ো শালিকের ঘাড়ে
রোঁ (১৮৬০)।
কাব্য : তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (গীতিকাব্য;১৮৬০), মেঘনাদবধ
কাব্য (মহাকাব্য; ১৮৬১), ব্রজঙ্গনা (কাব্য; ১৮৬১)
বীরঙ্গনা (পত্রকাব্য; ১৮৬২)
চতুর্দশপদী কবিতাবলী : সনেট সংকলন (১৮৬৬)
১.মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি কোনটি?
উঃ মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তি ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’।
২.মাইকেল মধুসূদর দত্ত কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
৩.মাইকেল মধুসূদর দত্ত খ্রীষ্টধর্মে দীক্ষিত হন কত সালে?
উঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রীষ্টধর্মে দীক্ষিত হন ১৮৪২/৪৩ সালে।
৪.‘কপোতক্ষ নদ’ কবিতার ষটকের অন্তমিল লেখ?
উঃ ‘কপোতক্ষ নদ’ কবিতার ষটকের অন্তমিল গঘগঘগঘ।
৫.বাংলা সাহিত্যে সনেট প্রবর্তন করেন কে?
উঃ বাংলা সাহিত্যে সনেট প্রবর্তন করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
৬.কপোতক্ষ নদকে কবি কী বলে সম্বোধন করেছেন?
উঃ কপোতাক্ষ নদকে কবি ‘দুগ্ধস্রোতরূপী তুমি জন্মভুমি-স্তনে’ বলে সম্বোধন করেছেন।
৭.কোন ভাষায় সাহিত্য রচনার মাধ্যমে মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবি প্রতিভার বিকাশ ঘটে?
উঃ বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনার মাধ্যমে মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবি প্রতিভার বিকাশ ঘটে।
৮.অষ্টকের গঠন বিন্যাস কী?
উঃ অষ্টকের গঠন বিন্যাস কখ কখ কখ খক।
৯.সনেটের ষটকে কী থাকে?
উঃ সনেটের ষটকে ভাবের পরিণতি থাকে।
১০. মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে পরোলকগমন করেন?
উত্তর- মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৭৩ সালে ২৯ শে জুন পরলোকগমন করেন।
১১. শর্মিষ্ঠা কোন ধরনের রচনা?
উঃ- শমিষ্ঠা মাইকেল রচিত একটি নাটক।
১২. ‘কপোতক্ষ নদ’ কবিতায় কবি বিরলে কার কথা ভাবেন?
উঃ ‘কপোতক্ষ নদ’ কবিতায় কবি বিরলে কপোতক্ষ নদের কথা ভাবেন।
১৩. মধুসূদন বাংলা কাব্যে কোন ছন্দের প্রবর্তক?
উঃ মধুসূদন বাংলা কাব্যে ‘অমিত্রাক্ষর’ছন্দের প্রবর্তক
১৪. নদী কাকে প্রজারূপে রাবি রূপ কর দান করে?
উঃ নদী সাগরকে প্রজারূপে রাবি রূপ কর দান করে।
১৫. কপোতাক্ষ নদ কবিতার উৎস কী?
উঃ
বিগত বছরে টেস্ট পরীক্ষায় আসা অনুধাবনমূলক প্রশ্ন।
অনুধাবনমূলকঃ
১. কপোতক্ষ নদের কথা কবি কেন ভুলতে পারছেন না?
২. ‘দুগ্ধস্রোতরূপী তুমি জন্মভুমি স্তনে’ ব্যাখ্যা কর? {য বো- ১৬, ঢা বো- ১৫}
৩. ‘স্নেহের তৃষ্ণা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? {রা বো- ১৫,কু বো- ১৫}
৪. কপোতাক্ষ ছাড়া অন্য কোনো নদীর জলে কবির ‘স্নেহের তৃষ্ণা’ নিবৃত্ত হয় না কেন?
৫. “ভ্রান্তির ছলনে” বলতে কী বোঝানো হয়েছে? {সি বো- ১৫, দি বো- ১৭}
৬. “বঙ্গের সংগীত বলতে কী বোঝানো হয়েছে? {দি বো- ১৬}
৭. ‘আর কি হে হবে দেখা’ কবির এই আক্ষেপের কারণ কী? {চ বো - ১৫}
৮. এ প্রবাসে মজি প্রেম ভাবে/লইছে যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে। ব্যাখ্যা করো।
বিগত বছরের বোর্ড পরীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক
প্রশ্নসমূহ
১। লইছে
যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে- এখানে কার নামের কথা বলা হয়েছে { ঢা. বো-১৭, রা বো-১৫}
ক. কবির
খ. কপোতাক্ষ নদের
গ. সাগরের ঘ. বঙ্গবাসীর
২। পুরানো
সেই দিনের কথা ভুলবে কিরে হায় ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা সে কি ভোলা যায়। ‘কপোতাক্ষ
নদ’ কবিতার সাথে উদ্ধৃতাংশের মিল রয়েছে-
{ রা. বো-১৭}
ক. স্বদেশ
চেতনায় খ. স্মৃতিকাতরতায়
গ. ক্ষোভ ঘ. বিদ্রুপ
২। কপোতাক্ষ
নদ’ কবিতার ষটকের ছন্দমিল বা অন্ত্যমিল
কোনটি? { য বো- ১৭, ব. বো-১৭}
ক. গঘঙ
গঘঙ খ. গঘগ গঘগ
গ. গঘগ
গঘগ ঘ. গঘঘ গঘঘ
নয়ন সমুখে
তুমি নাই
নয়নের মাঝখানে
নিয়েছ যে ঠাঁই
৩। উদ্দীপকের
ভাব ফুটে উঠেছে কোন চরণে? {কু.বো-১৭}
ক. জুড়াই
এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে
খ. দুগ্ধ
স্রোতরূপী তুমি জন্মভূমি স্তনে
গ. কিন্তু
এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে
ঘ. সতত,
হে নদ, তুমি পড় মোর মনে
৪। আর কি
হে হবে দেখা? এখানে প্রকাশ পেয়েছে? {চ বো-১৭}
ক. অসহায়ত্ব খ.
অনিশ্চয়তা
গ. সংকোচ ঘ. বিরহ
৫। আর কি
হে হবে দেখা? যতদিন যাবে- এখানে কবি মনের কোন অনুভুতি প্রকাশ পেয়েঠে? {সি বো-১৭}
ক. ভয় খ.
বেদনা
গ. সংশয়
ঘ. মোহ
৬। মাইকেল
মধুসূদন দত্তের অমরকীর্তি কোনটি? {দি বো-১৭}
ক. ব্রজঙ্গনা
কাব্য খ.
বীরঙ্গনা কাব্য
গ. মেঘনাদবধ
কাব্য ঘ. তিলোত্তমাসম্ভব
৭। ‘কপোতাক্ষ
নদ’ কবিতা রচনাকালে কবি কোথায় ছিলেন?
{ব. বো-১৫}
ক. ফ্রান্সে খ.
ভারতে
গ. ইতালি ঘ. ইংল্যান্ড
৮। নাম
তার এ প্রবাসে মজি প্রেম ভাবে/লইসে যে কব নাম বঙ্গের সংগীতে- এ চিত্রকল্পে যা ফুটে
উঠেছে? { কু বো-১৬}
ক. বিরহের
ব্যাকুলতায়
খ. সান্নিধ্যের
উদ্বেলতা
গ. বিচ্ছেদের
প্রতিকূলতা
ঘ. ভালোবাসার
আকুলতা
৯। ‘কপোতাক্ষ
নদ’ কবিতার কোন পংক্তির মধ্যে স্বদেশ
প্রেমের সর্ব্বোচ বহিপ্রকাশ ঘটেছে-{ রা বো-১৬}
ক. লইসে
যে কব নাম বঙ্গের সংগীতে
খ. সতত,
হে নদ, তুমি পড় মোর মনে
গ. দুগ্ধ স্রোতরূপী তুমি জন্মভূমি স্তনে
ঘ. আর কি
হে হবে দেখা? যতদিন যাবে
১০। সতত
যেমতি লোক নিশার স্বপনে শোনে মায়া মন্ত্রধ্বনি- এ চরণে কবির কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে-
{কু. বো-১৬}
ক. স্বদেশ
প্রেম
খ. কপোতাক্ষ
নদের প্রতি ভালোবাসা
গ. মাতৃভাষার
প্রতি ভালোবাসা
ঘ. পিতামাতা
থেকে দূরে থাকার কষ্ট
১১। ‘কপোতাক্ষ
নদ’ কবিতায় কবি ‘বঙ্গজ জনের’ বলতে কাকে বুঝিয়েছেন? {ব বো-১৬}
ক. কপোতাক্ষ
নদকে
খ. বঙ্গদেশের
জনগণকে
গ. প্রবাসী
বাঙালিকে
ঘ. বাংলা
সাহিত্যকে
১২। চতুদর্শপদী কবিতার অষ্টকে থাকে-{দি বো-১৬}
ক. ভাবের
প্রবর্তনা খ. ভাবের ব্যাখ্যা
গ. ভাবের
পরিণতি ঘ.
উপসংহার
১৩। ‘কপোতাক্ষ
নদ’ কবিতায় কবি সাগরকে কী রূপে কল্পনা
করেছেন? {কু বো-১৫}
ক. রাজা খ.
প্রজা
গ. মাতা ঘ.
সখা
১৪। ‘কপোতাক্ষ
নদ’কবিতায় ‘স্নেহের তৃষ্ণা’কথাটিতে
প্রকাশ পেয়েছে কবির- {ব বো-১৫}
ক. স্বজাতি
প্রীতি খ.
স্মৃতিকাতরতা
গ. মাতৃভাষাপ্রীতি ঘ.
সন্তানবাৎসল্য
১৫. ‘কপোতাক্ষ
নদ’কবিতায় স্মৃতিকাতরতার আবরণে কোন বিষয়টি
প্রকাশিত হয়েছে? {সকল বোর্ড-১০, সি বো-০৬}
ক. দেশপ্রেম
খ.
প্রকৃতিপ্রেম
গ. নদীর
প্রতি মমতা ঘ. শৈশবস্মৃতি
১৬. বাংলা
সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য কোনটি? { দি.বো-১৫}
ক. হেক্টরবধ খ.
বীরঙ্গনা
গ. মেঘনাদবধ ঘ.
মহাশ্মশান
১৭. ‘কপোতাক্ষ
নদ’ কবিতায় প্রচলিত অষ্টকের ছন্দমিল কোনটি?
{সকল বোর্ড-১১}
ক. কখ কখ
কখ কখ খ. কখ খগ কখ খগ
ক. কখ খক
কখ খক ঘ. কখ কখ কখ কগ
১৫. চর্তুদশপদী
কবিতায় প্রচলিত অষ্টকের অন্তমিল- {চ. বো-১৬}
i. কখ খগ কখখগ
ii. কখগক কখগক
iii. কখখক কখখক
ক. i ও ii খ. ii ও iii
১৫। ‘কপোতাক্ষ
নদ’কবিতায়‘স্নেহের তৃষ্ণা’কথাটিতে
প্রকাশ পেয়েছে? {সকল বোর্ড-১২}
i. স্মৃতিকাতরতা
ii. স্বজাত্যবোধ
iii. দেশপ্রেম
ক. i ও ii খ. ii ও iii
উদ্দীপকটি
পড় এবং ১৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
‘মিছা মণি মুক্তা হেম, স্বদেশের প্রিয়
প্রেম,
তার চেয়ে
রত্ন নাই আর ।{য বো-১৬}
১৬. কবিতাংশের
ভাব নিচের কোন কবিতায় প্রকট হয়ে ধরা দিয়েছে?
ক. জীবন-সঙ্গীত খ.
কপোতাক্ষ নদ
গ. সেইদিন
এই মাঠ ঘ.
আমার পরিচয়
উদ্দীপকটি
পড় এবং ১৭ ও ১৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
পৌষের কাছাকাছি/
রেদমাখা সেইদিন
ফিরে আর
আসবে কি কখনো? ।{ঢা বো-১৫}
১৭. ‘কপোতাক্ষ
নদ’কবিতায় কোন বিষয়টি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে?
ক. আত্মনিবেদন খ.
স্মৃতিকাতরতা
গ. প্রকৃতিপ্রেম ঘ.
দেশপ্রেম
১৮. উদ্দীপকের
মূল বক্তব্য নিচের কোন চরণে ফুটে উঠেছে?
ক. সতত
তোমারি কথা ভাবি এ বিরলে
খ. আর কি
হে হবে দেখো যতদিন যাবে?
গ. লইছে
যে তব নাম বঙ্গের সংগীতে
ঘ. জুড়াই
এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে
উদ্দীপকটি
পড় এবং ১৯ ও ২০ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
অবসাদে
ঘুম নেমে এলে
আবার দেখেছি
সেই ঝিকিমিকি শকরী তিতাস
কী গভীর
জলধারা ছড়াল হৃদয়ে আমার। {য বো-১৫}
১৯. ‘কপোতাক্ষ
নদ’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
ক. নদীর
প্রতি অনুরাগ খ. স্মৃতিকাতরতা
গ. স্বদেশপ্রেম ঘ.
নদীর প্রতি মিনতি
২০. প্রকাশিত
দিকটি যে উক্তিটিতে ফুটে উঠেছে-
i. সতত তোমারি কথা ভাবি এ বিরলে
ii. জুড়াই এ কার আমি ভ্রান্তির ছলনে
iii. বহুদেশ দেখিয়াছি বহুনদ দলে
ক. i ও ii খ. ii ও iii
উদ্দীপকটি
পড় এবং ২১ ও ২২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
জন্ম আমার
ধন্য হলো, মাগো-
এমন করে
আকুল হয়ে আমায় তুমি ডাকো। {দি বো-১৫}
২১। উদ্দীপকে
কপোতাক্ষ নদ কবিতার কবির কোন মানসিকতা ব্যক্ত হয়েছে?
ক. আত্মনিবেদন খ.
স্মৃতিকাতরতা
গ. প্রকৃতিপ্রেম ঘ.
দেশপ্রেম
২২। উক্ত
বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে নিচের চরণে?
i. সতত,হে নদ তুমি পড় মোর মনে
ii. কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার
জলে
iii. আর কি হে হবে দেখা
নিচের কোনটি সঠিক?